রেদোয়ান দরজার দিকে এগিয়ে গিয়ে ধীরে ধীরে সেটি বন্ধ করল। বাইরে ছিল ঘন কুয়াশা আর এক ধরনের অদৃশ্য কাঁপুনি। তার শরীরের লোম খাড়া হয়ে আছে। সে ভেবে পাচ্ছে না—ঘটনাটা কি সত্যিই ঘটেছিল, নাকি ছিল দুঃস্বপ্ন?
“আমার পূজা কে বন্ধ করল...? আমার রক্ত কোথায়?”
ঘরটা নিঃস্তব্ধ। কেবল দম বন্ধ করা নীরবতা। সে জানে, কিছু একটা আছে… এখানেই… তার আশেপাশে। বিছানায় ফিরে যেতে গিয়ে তার চোখ পড়ে খাটের নিচে। মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে সে দেখতে পায় কাপড় মোড়ানো কিছু। খুলতেই বের হয় একটি ছোট মাটির পুতুল—রক্তচিহ্নিত, গলায় লাল সুতো, আর অদ্ভুত চোখ যেন তাকে দেখছে!
পাশেই ছোট একটি কাগজে লেখা ছিল:
“যে পূজা বন্ধ করেছিল, সে এখনো শাস্তি পায়নি… মুখহীনীর অভিশাপ জেগে আছে…”
পরদিন সকালে রেদোয়ান গ্রামের একজন প্রবীণ পুরোহিতের খোঁজ পায়—পণ্ডিত অম্বিকানন্দ। প্রায় শতবর্ষ বয়স, চোখে ঝলক। তিনি বলেন:
“চণ্ডীমন্দির এক সময় ছিল রক্তপূর্ণিমা পূজার কেন্দ্র। সেখানে উৎসর্গ করা হতো রক্ত। এক কন্যা সেই পূজার বিরোধিতা করেছিল। সেই রাতেই সে নিখোঁজ। পরদিন মন্দিরের মূর্তির চুলে বাঁধা ছিল তার কেশ। তখন থেকেই অভিশাপ।”
রেদোয়ান সন্ধ্যায় আবার মন্দিরে যায়। খননের সময় পায় এক কাঠের বাক্স, যার ভিতর ছিল দাঁত, আঁচড়ের দাগ, আর এক সতর্কবার্তা:
“মুখহীনী ফিরবে পূজাহীন রাতে। তাকে থামাতে হলে আগুনে পোড়াও তার পুতুল। কিন্তু সে রক্ত চাইবে… শেষ রক্ত না পাওয়া পর্যন্ত থামবে না…”
হঠাৎ মন্দিরের ছাদ থেকে পাথর পড়ে যায়—সে অল্পের জন্য বাঁচে। দূরে কান্নার শব্দ… বাতাসে গন্ধ… ছায়া যেন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে…
🔮 পরবর্তী পর্বে:
- আগুনে পোড়ানো পুতুল কী ফল আনবে?
- রেদোয়ানের পেছনে কার ছায়া চলতে শুরু করেছে?
- চণ্ডীর মুখহীন অভিশাপ কার চেহারা নিতে চাইছে?
0 মন্তব্যসমূহ