বাংলাদেশে ১০ বছরের ই-পাসপোর্ট করার জন্য কী কী লাগে? প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আবেদন ফি, অনলাইন আবেদন লিঙ্ক, অফিসে যাওয়া, সময় ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শসহ সম্পূর্ণ গাইড নিচে দেওয়া হলো।

ই-পাসপোর্ট (e-Passport) কী?

ই-পাসপোর্ট হল একটি আধুনিক, নিরাপদ ও বায়োমেট্রিক তথ্য সমৃদ্ধ ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট। এতে একটি মাইক্রোচিপ থাকে যা আপনার ব্যক্তিগত ও বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ করে। এটি ICAO অনুমোদিত এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য।

ই-পাসপোর্টের সুবিধা

  • মেশিন রিডেবল থেকে আরও নিরাপদ
  • তথ্য স্ক্যান করে দ্রুত পাওয়া যায়
  • ডিজিটাল নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়
  • ই-গেট ব্যবহার সহজ হয়
  • বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা

বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম

২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকার ই-পাসপোর্ট চালু করেছে। বর্তমানে ৭০টির বেশি পাসপোর্ট অফিসে এই সেবা চালু রয়েছে যেমনঃ আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ি, উত্তরা, সিলেট, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ইত্যাদি।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে যা যা লাগবে

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
  • ১৮ বছরের নিচে জন্ম সনদ
  • শিক্ষাগত সনদ
  • পুরাতন পাসপোর্ট (যদি থাকে)
  • বিয়ের সনদ (নারীদের ক্ষেত্রে)
  • পিতামাতার NID (১৮ বছরের নিচে)
  • চাকরির NOC (সরকারি/বেসরকারি)
  • অনলাইন আবেদন ফর্মের প্রিন্ট কপি

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন ধাপসমূহ

ধাপ ১:

প্রথমে আপনার এলাকার অফিসে এই সেবা চালু আছে কিনা যাচাই করুন।

ধাপ ২:

ePassport.gov.bd ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলুন।

ধাপ ৩:

লগইন করে অনলাইন ফর্ম পূরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সাবমিট করুন।

ধাপ ৪:

ফর্ম জমা দিয়ে সাপোর্টেড ব্যাংকের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করুন।

ফি ও ব্যাংকের তালিকা দেখুন

ধাপ ৫:

নির্ধারিত তারিখে বায়োমেট্রিকের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যান। সঙ্গে নিচের কাগজপত্র নিন:

  • আবেদন ফর্ম ও অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রিন্ট
  • NID বা জন্মসনদের কপি
  • পেমেন্ট স্লিপ
  • পুরাতন পাসপোর্ট (যদি থাকে)
  • সরকারি চাকরিজীবীদের NOC/GO
  • তথ্য সংশোধনের প্রমাণপত্র

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফি (২০২৫)

মেয়াদ পৃষ্ঠা ডেলিভারি টাইপ ফি (টাকা)
১০ বছর ৪৮ পৃষ্ঠা নরমাল (২১ দিন) ৫৭৫০ টাকা
এক্সপ্রেস (৭ দিন) ৮০৫০ টাকা
সুপার এক্সপ্রেস (২ দিন) ৯৭৫০ টাকা
১০ বছর ৬৪ পৃষ্ঠা নরমাল ৬৯০০ টাকা
এক্সপ্রেস ৯২১০ টাকা
সুপার এক্সপ্রেস ১১২৫০ টাকা

কত দিনে পাবেন?

  • নরমাল: ১৫–২১ কার্যদিবস
  • এক্সপ্রেস: ৫–৭ কার্যদিবস
  • সুপার এক্সপ্রেস: ২ কার্যদিবস (ঢাকায় প্রযোজ্য)

👉 সময় গণনা শুরু হয় বায়োমেট্রিক দেওয়ার দিন থেকে।

গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

  • সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন
  • ফর্ম সাবমিটের আগে যাচাই করুন
  • ছবি, স্বাক্ষর ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে সতর্ক থাকুন
  • ফি জমার রশিদ সংরক্ষণ করুন
  • নিজে আবেদন করুন, দালাল এড়িয়ে চলুন

👉 অফিশিয়াল ওয়েবসাইট: https://www.epassport.gov.bd

🙋‍♂️ আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।